ঈদযাত্রায় কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করতে বলেছেন তিনি।
Published : 19 Apr 2023, 06:10 PM
ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে মূল্যবান সামগ্রী স্বজনের কাছে রেখে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেছেন, “ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের ব্যবস্থা থাকবে, তবে আপনারা যারা বাড়ি যাবেন- তারা মূল্যবান সামগ্রী বাসায় না রেখে স্বজনের কাছে জমা রাখুন।”
ঈদের ছুটির প্রথম দিন বুধবার দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ঈদ জামাত বা ঈদ সামনে রেখে কোনো ধরনের হুমকি নেই জানিয়ে আইজিপি বলেন, “তার পরেও পুলিশ সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
“পুলিশের পাশপাশি র্যাব, আনসার মোতায়েন রয়েছে। প্রয়োজনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে।”
নৌপথের যাত্রা নিরাপদ রাখতে ঈদের আগে ও পরে ১১ দিন বাল্ক চলাচলের উপর বিআইডব্লিউটিএ’র নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
“ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে- যেন কোথাও কোনো সমস্যা না হয়। পাশাপাশি যাত্রীবাহী নৌযানগুলোকে নৌপুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে।”
নৌপথের পাশাপাশি সড়ক ও রেলপথে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, “হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশকে তার স্ব স্ব জায়গা থেকে সাধারণ যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেন সবাই তার স্বজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়- এই চেষ্টা থাকবে আমাদের।”
যাত্রাকালে অপরিচিত কারও কাছে কোনো জিনিস না নেওয়া বা না খাওয়ারও পরামর্শ দেন পুলিশ প্রধান।
হাইওয়েতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি না চালাতে চালকদের পরামর্শ দিয়ে আইজিপি বলেন, “যারা বেপরোয়া গাড়ি চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন।
কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শন শেষে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “এখন পর্যন্ত এসব স্টেশন বা টার্মিনালগুলোতে তেমন কোনো যাত্রীর চাপ নেই। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে চাপ বাড়তে পারে।
“কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করবেন।”
চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যাত্রী ও রেল কর্মকর্তাদের আহত করার বিষয়ে দৃষ্ট আকর্ষণ করা হলে আইজিপি জানান, “রেলওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ঢিল ছুঁড়ে মারার এলাকাগুলো চিহ্নিত করে জনসচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। এলাকার জনপ্রতিনিধির সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে।
“তবে কে বা কারা এসব করছে, এ ব্যাপারে কেউ সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য দেয়- তাহলে তাকে আমরা পুরস্কৃত করব।”