আরও বিস্তৃত হবে শৈত্যপ্রবাহ

ঢাকায় গত কয়েকদিনে শীত জেঁকে বসায় ঘর থেকে বের হলে গায়ে তুলতে হচ্ছে মোটা গরম পোশাক। ফাইল ছবি

দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সেটি আরও বিস্তৃত হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান। সেই সঙ্গে সারা দেশে শীতের অনুভূতিও বাড়বে।

শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে। এসময় দিনাজপুর ও রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ এবং নওগাঁর বদলগাছীতে রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা।

আর সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার ও ফেনীতে।

ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখা গেছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোন কোন এলাকায় তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথাও জানানো হয় পূর্বাভাসে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, “দিনে কুয়াশা থাকবে, একেবারে যাবে না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হয়ত কমবে।”

এবারে বছরের শুরু থেকেই শীতের দাপট ছিল। কিন্তু গত ১১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে, সঙ্গে থাকে হিম বাতাস।

এর মধ্যে কোথাও কোথাও দুইদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও ঝরেছে। যা বাড়িয়ে দিয়েছে শীত।

কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে।

চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, এ মাসে দেশে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।