আগুনের ধোঁয়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওই রোগীকে নিচে নামান তার স্বজনরা।
Published : 05 Feb 2023, 07:02 PM
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় ‘হুড়োহুড়ি’ করে নামার পর এক রোগীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
রোববার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
৬০ বছর বয়সী জসিম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নয়ন কান্দি গ্রামে। তার মৃতদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন স্বজনরা।
মৃতের ছেলে মফিজ উদ্দিন বলেন, শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে তার বাবা শনিবার হাসপাতালের নতুন ভবনের ছয়তলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। রোববার বিকালে ওই ভবনের চতুর্থতলায় ডায়ালাইসিস সেন্টারের এসিতে আগুন ধরে।
আগুনের ধোঁয়ায় আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে নামানোর সময় জসিম আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক ইসিজি করানোর পর তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হন।
জসিম মাস চারেক ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে মফিজ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারের একটি এসির আউটডোর ইউনিটে আগুন লেগেছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে তা নিভিয়ে ফেলে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বেশ কয়েকজন কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস চলছিল। সে কারণে সেখানকার অনেক রোগী নিচে নামতে পারেননি। আবার অনেকেই নাকে নল লাগানো অবস্থায় নিচে নেমে আসেন। আগুনের ধোঁয়া উপরের দিকে ছড়ায় সেখানকার রোগীরাও আতঙ্কিত হয়ে হুড়াহুড়ি করে নিচে নামেন।
জসিমের মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, “যে ওয়ার্ডে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, তার দুই ফ্লোর উপরেই ছিল ওই রোগী। তিনি অক্সিজেনের আন্ডারে ছিলেন, নিউমোনিয়া ছিল, কিডনির সমস্যাও ছিল।
“রোগীর স্বজনরা রোগীকে যখন নিচে নিতে চেয়েছিলেন, তখন আমাদের নার্সরা মানা করেছেন। কিন্তু তারা (স্বজনরা) আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তা না মেনে রোগীকে নিচে নিয়ে যায়। ফলে ওই রোগী আরও অসুস্থ হয়ে যায়। পরে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।”