বাজেটে ৫৬৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা রাখা হয়েছে পরিচালন ব্যয় মেটানোর জন্য। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৬৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
Published : 31 Jul 2024, 07:14 PM
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৭৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি।
বুধবার নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এই বাজেট ঘোষণা করেন।
বাজেটে ১ হাজার ৩৯৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব এবং অন্যান্য উৎস থেকে ১০৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মিলিয়ে ১৫০৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এছাড়া সরকারি ও বৈদেশিক উৎস থেকে মোট ৪৪৩৩ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
বাজেটে ৫৬৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা রাখা হয়েছে পরিচালন ব্যয় মেটানোর জন্য। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৬৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
এবারের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে বরাদ্দ গত অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে কীটনাশক ক্রয়ে ৪০ কোটি, মশক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কেনা ও পরিবহনে ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মশক নিয়ন্ত্রণে ৪০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এবারের বাজেটে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ১০০ কোটি টাকা এবং খাল, জলাশয়, নর্দমা পরিচ্ছন্নতায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
গত অর্থবছে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ৪০ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং খাল, জলাশয় ও নর্দমা পরিচ্ছন্নতা খাতে ২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা খরচ করেছে ডিএসসিসি।
এবারের বাজেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে ১১৭ কোটি রাখা হয়েছে।
বাজেট অনুষ্ঠানে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে, তাই আয় আগের চেয়ে বেড়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে গৃহকর থেকে আয় হয়েছিল ২০০ কোটি টাকার কম। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে তা ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
“মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত ৪ বছরে আমরা কোনো খাতে কোনো কর বৃদ্ধি করিনি। বরং এ সময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে, আয়ের খাত বৃদ্ধি, কর ফাঁকি রোধ এবং বকেয়া কর আদায়ের মাধ্যমে আমরা রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি।”
বাজেট অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির সব ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।