জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
Published : 29 Jan 2024, 04:54 PM
আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানানোর ঘটনায় জামালপুরের ডিসি মো. ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার বিকালে ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনের সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে তাদের ওপর।
“এ অবস্থায় সরকার, গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের উপর জনমানুষের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে মো. ইমরান আহমেদকে, ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে, জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনোরূপ নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান করা থেকে বিরত রাখা সমীচীন হবে।”
পাশাপাশি অন্যান্য জেলার ডিসিরাও যাতে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকেন, সেজন্য ‘সতর্কবার্তা দেওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠিতে জানিয়েছে ইসি।
গত সোমবার বিকালে মাদারগঞ্জ পৌরসভার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিসি ইমরান আহমেদের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ডিসি বলছেন, “আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। আমাদের অনেক কষ্টের অর্জিত এই স্বাধীনতার সুফল হলো আজকের যোগাযোগ ও উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
“যে সরকার এই উন্নয়ন করেছে, এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে, সেই সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে; এটা হবে আমাদের অঙ্গীকার।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঙ্গলবার বলেন, একজন জেলা প্রশাসকের এমন বক্তব্য দেওয়ার কথা নয়। ওই ভিডিও ‘বিকৃত’ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোটের তফসিল ঘোষণা হবে নভেম্বরে।
তফসিল হওয়ার আগেই একজন ডিসির প্রত্যাহার চাওয়ার এখতিয়ার যে নির্বাচন কমিশনের আছে, সে বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া চিঠিতে।
সেখানে বলা হয়েছে, “সংবিধানের ১২০ ও ১২৬ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৫ ও ৯১ (গ) নম্বর অনুচ্ছেদসহ আরও বিভিন্ন আইন ও ধারায় এ বিষয়টি সুষ্পষ্ট যে, নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের এখতিয়ার কেবল তফসিল ঘোষণার পর নয়, সকল সময় বিদ্যমান থাকে।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)