খায়রুল হক ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান; ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।
Published : 18 Aug 2024, 08:14 PM
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সদ্য পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আইনি নোটিস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
রোববার আইন উপদেষ্টা ও আইনসচিব বরাবর এ নোটিস দেন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সাবেক আইন কমিশন চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নোটিস দিয়েছি।”
নোটিসে বলা হয়, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে গত সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বিচার বিভাগের সামনে আনা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক কথা বলেন।
“তার অবসরের ১৬ মাস পর রায় প্রকাশ করা হয়। এই রায় বাংলাদেশে ‘কুৎসিত’ সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। খায়রুল হক দেশের সব অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ‘স্থপতি’। খায়রুল হক শুধু সংবিধানের বিধানই লঙ্ঘন করেননি, বরং সব ‘ঘৃণার বিষবৃক্ষ, দুর্নীতি ও বর্বরতা’ রোপণ করেন। সব প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের মনোবল হ্রাস, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতদুষ্টে পরিণত করেন।”
নোটিসে আরও বলা হয়, এসব অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘নৈতিক দুর্নীতি, অসদাচরণ এবং এর ফলে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগী’ হিসেবে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিসে।
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।
২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্প্রতি তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।