"শিশুরা অস্থির হয়ে যাচ্ছে, কখন তারা বাসায় যাবে। বারবার পানি খেতে চাচ্ছে।"
Published : 28 Apr 2024, 10:24 AM
দেশজুড়ে তাপপ্র্রবাহের মধ্যেই খুলেছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ; রোজা, ঈদ, পহেলা বৈশাখ এবং গরম মিলিয়ে লম্বা ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।
রোববার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের গেইটে দেখা যায়, অভিভাবকরা তাদের সন্তান পৌঁছে দিচ্ছেন; সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছেন পানি ও জুস। রোদের মধ্যে বাইরে যাতে খেলাধুলা না করে, নিয়ম করে যাতে পানি খায়, দিয়ে দিচ্ছেন সেই পরামর্শও।
অনেক অভিভাবক এই তীব্র গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে ছিলেন না। তাদের শঙ্কা, বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে গরমের মেধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আর শিক্ষকরা বলছেন, গরমে শিশুদের অস্থিরতা ধরা পড়ছে ক্লাস রুমে।
ঢাকার মিরপুরের শহীদবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসিনা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "শিশুরা অস্থির হয়ে যাচ্ছে, কখন তারা বাসায় যাবে। বারবার পানি খেতে চাচ্ছে।"
সময়সূচি এগিয়ে এনে রোববার সকাল ৮টা থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও আগের মত শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শহীদবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভশ্রী দাস বললো, স্কুলে আসতে আসতে রোদে ঘেমে যেতে হয়েছে তাকে। তার ক্লাস শুরু হয়েছে পৌনে ১০ টায়।
তার ভাষ্য, "অনেক রোদ ছিল। আমার বাসা ই ব্লকে। আসতে গিয়ে ঘেমে গেছি। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকলেও বাসায় ভালো লাগে না।"
সন্তানকে ক্লাসে পাঠিয়ে স্কুলের সামনেই অপেক্ষা করছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ হোসেনের মা ফরিদা ইয়াসমীন। তিনি বললেন, গরম ক্লাস শুরু হওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন।
"আগে ক্লাসে দিয়ে চলে যেতাম। আবার নিতে আসতাম। আজ অপেক্ষা করছি। গরম তো অনেক। কি জানি কি হয়।"
আবার অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলবে অনলাইনে। তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক শিফটের স্কুলগুলো সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটের স্কুলে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
শ্রেণিকক্ষের বাইরে শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশ পরিচালিত হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) হবে না স্কুলে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শনিবারের ক্লাসের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।