কর্মসূচি থেকে কোটা আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় বিচার দাবি করা হয়।
Published : 02 Aug 2024, 02:44 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহত ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ।
শুক্রবার বৃষ্টির মধ্যেই আফতাবনগর, ধানমন্ডি, বাংলামোটর, উত্তরা ও শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার পরে আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল নিয়ে তারা রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সংঘাতে হতাহতের ঘটনায় বিচার দাবি করেন। এ সময় তারা গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের মিছিলের সামনে ও পেছনে পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে।
মিছিলে অংশ নেওয়া ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দেশে যে অস্থিরতা চলছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমরা এই কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের যে ভাইরা হত্যার শিকার হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরাসহ সারাদেশের মানুষ সোচ্চার আছি। সাধারণ নাগরিক আমাদের সাথে একাত্ম হয়েছে।
“আমরা জানি, বিগত দিনগুলোসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণগ্রেপ্তার কর্মসূচি চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ এবং ৯ দফা দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে আসছি। যতদিন আমাদের দাবি পূরণ না হয়, আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
বেলা ১১টার দিকে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১১টায় বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রবেশমুখে বিক্ষুব্ধ কবি-লেখক সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কাছাকাছি সময়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন চিকিৎসক, মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা। সর্বস্তরের চিকিৎসক, মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই সভার আয়োজন করা হয়।
এতে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও অংশ নেন। সমাবেশ থেকে কোটা আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় বিচার দাবি করা হয়।
ধানমণ্ডিতে বেলা সাড়ে ১২টায় ‘ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে শিল্পী সমাজ কর্মসূচি’ পালন করা হয়। এ সময় ‘ঘাতকের কালো হাত, ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই-দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।