মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার বনানী থেকে সোহায়েলকে এবং রামপুরা থেকে আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Published : 21 Aug 2024, 10:41 AM
নৌবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার বনানী থেকে সোহায়েলকে এবং রামপুরা থেকে আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ওবায়দুর রহমান জানিয়েছেন।
তবে কোন মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
২০১০ সাল থেকে দুই বছর র্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক থাকার সময় ব্যাপক পরিচিতি পান সোহায়েল। দুর্নীতি, জোরপূর্বক আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর গত সোমবার সোহায়েলকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কথা জানায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী, এর একদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হল।
আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর গত ৭ আগস্ট বন্দর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে তাকে নৌবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।
২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোনো জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের আনুকূল্যে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
মোহাম্মদ সোহায়েল এক বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনে জিতে সংসদের টিকিট পান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পাঁচ বারের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে তিন বার সহসম্পাদক এবং পাঁচ বার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।