আগামী ২২ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
Published : 07 Jul 2024, 09:59 PM
পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যবসায়ীর ফোন-টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পুনঃতদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ২২ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ১৩ জুন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী এই নির্দেশ দিলেও বিষয়টি রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জহির কামাল।
তিনি বলেন, “গত ১৩ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় আগামী ২২ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।”
এর আগে ওয়ারী থানা পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল। তবে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন বাদী। আদালত সিআইডিকে পুনরায় তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।
২০২৩ সালের ১৫ মার্চ মশিউর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় চাঁদাবাজির অভিযোগও আনা হয়।
মশিউর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- ফরহাদ ব্যাপারী, আরশাদ আকাশ, রাসেল চাকলাদার ও টুটুল আহম্মেদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৫ অগাস্ট আসামি ফরহাদ ব্যাপারী মশিউর রহমানের কাছে থেকে ব্যবসার কথা বলে চার লাখ টাকা ধার নেন এবং ব্যবসায় লাভ হলে লভ্যাংশ দেবে বলে জানান।
কিছুদিন পর আসামির কাছে টাকা চাইলে তিনি জানান, ব্যবসায় লস হয়েছে এবং শিগগিরই টাকা ফেরত দেবে বলে জানান। এরপর গত ৫ অক্টোবর পাওনা টাকা চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
আসামি ইব্রাহিম ফরাজি তাদের সমস্যার সমাধান করে দেবেন বলে জানান এবং মশিউরকে দেখা করতে বলেন। গত ১৮ নভেম্বর ফরাজির কথামতো তার ঠিকানায় গেলে আসামিরা তাকে একটি কক্ষের ভেতর নিয়ে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে।
এরপর আসামি আরশাদ আকাশ পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে পিস্তল ঠেকিয়ে একটি আইফোন এবং এগারো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। হাতে পিস্তল দিয়ে ছবি তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেবেন বলে হুমকিও দেন। পরে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে আরো দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এরপর মশিউর ২৬ নভেম্বর মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল আনতে গেলে আসামিরা পাঁচ লাখ সাড়ে ১২ হাজার টাকা রেখে তা ফেরত দেন।