"কোনো জাতি যৌথ দায়িত্ব পালনে অবদান রাখা থেকে সরে যেতে পারে না," বলেন তিনি।
Published : 16 Nov 2024, 09:39 PM
দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ মুক্ত ‘থ্রি জিরো’ বিশ্ব গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ সামাজিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে গঠিত জি-২০ গ্লোবাল অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি এ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
মুহাম্মদ ইউনূস প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা বাড়ানো এবং টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, "কোনো জাতি যৌথ দায়িত্ব পালনে অবদান রাখা থেকে সরে যেতে পারে না।"
ধ্বংসপ্রাপ্ত কাঠামোর প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং টেকসই সমাধানের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুবশক্তিকে সংগঠিত করতে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এমন দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কম খরচে জীবনযাপন এবং নতুন মানসিকতা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, যা ‘থ্রি জিরো ওয়ার্ল্ড` এর দর্শন অর্জনে অপরিহার্য।
মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রপতি লুলাকে বাংলাদেশ ভ্রমণে আমন্ত্রণ জানান।
ব্রাজিলের জি-২০ সভাপতিত্বে এ জোট গঠিত হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, ব্রাজিলের পাশাপাশি বাংলাদেশ এ বৈশ্বিক জোটে যোগ দেওয়া প্রথম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের একটি সম্মানজনক অর্জন। এবারের এ অধিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বিজপ্তিতে বলা হয়, এ বছরের জি-২০ সভাপতিত্বকারী দেশ ব্রাজিল বাংলাদেশের নেতৃত্বকে তিনটি মূল স্তম্ভে অবদান রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এগুলো হল- নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু স্থায়িত্ব এবং দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াই।
সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মাতৃস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিশু সেবার প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা এবং দূতাবাসের কাউন্সেলর জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের ৩০টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিয়ে গঠিত, যেখানে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সম্মেলনে মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন খাতের ৩০০ এর বেশি ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছেন।