স্বামীসহ বেড়াতে এসে ‘ধর্ষণের’ শিকার: গ্রেপ্তার সাতজন কারাগারে

ঢাকার কাওলায় বোনের বাড়িতে স্বামীসহ বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।

ঢাকার খিলক্ষেতে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে ঢাকা মহানগর হাকিম তাহমিনা হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামির হলেন- আবুল কাশেম সুমন, পার্থ বিশ্বাস, নূর মোহাম্মদ, হাসিবুল হাসান হিমেল, রবিন হোসেন দেওয়ান, মীর আজিজুল ইসলাম টুটুল ও মেহেদী হাসান হৃদয়।

খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন বলে আদালতে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই উত্তম কুমার বিশ্বাস জানান।

খিলক্ষেতে স্বামীসহ বেড়াতে আসা এক নারীকে শুক্রবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলার পর খিলক্ষেতের আশপাশের এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এজাহারে বলা হয়, ওই দম্পতি সাভার এলাকায় থাকেন। শুক্রবার রাতে কাওলা এলাকায় বোনের বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন ওই নারী। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিমানবন্দর সড়কে বনরূপা যাত্রী ছাউনির সামনে অপেক্ষার সময় পূর্বপরিচিত আবুল কাশেম সুমন এসে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।

তখন ওই নারী ও তার স্বামীকে বাগানবাড়ি এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় সুমন ও তার সঙ্গীরা। সেখানেই স্বামীকে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, বাগানবাড়িতে সুমনরা ওই নারীর স্বামীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এরপর তারা ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাদের ছাড়া হবে না বলে হুমকি-ধমকি দেন তারা।

একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে ওই নারীর স্বামীকে টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেন সুমন ও তার সহযোগীরা। রাত ৩টার দিকে প্রথমে সুমন ও পরে আরও তিনজন তাকে ধর্ষণ করেন। সেখানে উপস্থিত অন্য তিনজন ঘটনাস্থল পাহারা দেন। পরে ভোর ৫টায় ওই নারীকে রেখে আসামিরা চলে যান।

কথা বলতে ডেকে নিয়ে খিলক্ষেতে স্বামীকে আটকে নারীকে 'ধর্ষণ', গ্রেপ্তার ৭