“যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির," বলেন ডিএমপি কমিশনার।
Published : 25 Dec 2023, 03:00 PM
কেউ ভোট ঠেকাতে এলে তাদের অপতৎপরতা পুলিশ ‘সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে’ প্রতিহত করবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, "ভোট দেওয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট না দেওয়াও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়৷ যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির।"
সোমবার দুপুরে ঢাকার দুই সিটির কাউন্সিলরদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পুলিশ কমিশনার।
কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কোনো ঝুঁকি কিংবা নাশকতার তথ্য পেয়েছেন কিনা– এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই। কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার লোকজন ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে, সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।”
হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় দুটি সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৭২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। কার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোন সমস্যা আছে তা জানতেই কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ।
"সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক দলের নাশকতা সংক্রান্ত কিছু কার্যক্রম, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেগুলো হচ্ছে সেগুলো প্রতিরোধে পুলিশের সঙ্গে কাউন্সিলররা একসঙ্গে কাজ করবে," বলেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৭টি দল নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ভোট বর্জনের আহ্বানে অসহযোগের ডাক দিয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে তারা, এসব কর্মসূচির মধ্যে যানবাহনে নাকশতাও ঘটছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করতে বা ভোটদানে বাধা দিতে কেউ যেন না পারে সেজন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে চেয়েছে এবং আগামী দিনে সবাই যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য আমরা বদ্ধপরিকর।”
বৈঠকে ফুটপাতের দখল নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, হকারদের দখলে থাকা ফুটপাত ও রাস্তা উদ্ধারে পুলিশ ও কাউন্সিলররা একসঙ্গে কাজ করবেন বলে ঐকমত্য হয়েছে।
“পুলিশ তাদেরকে তুলে দিতে পারে, কিন্তু পুনঃর্বাসনের বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত৷ সুতরাং বিকল্প কোনো জায়গার ব্যবস্থা যাতে করা যায়, সে লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে থানার ইনচার্জ ও ডেপুটি কমিশনার ও কাউন্সিলদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তীতে এর সমাধান করা হবে।”