“ছয় মাসে ১৮০টি আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করেছি। প্রচলিত পুলিশি কৌশল ব্যবহার না করে ধৈর্য দেখিয়েছি, যা হয়তো একদিন স্বীকৃতি পাবে।”
Published : 06 Feb 2025, 11:43 PM
নির্বাচনই দেশের ‘সব সমস্যার সমাধান নয়, কাঠামোগত সংস্কারও জরুরি’ বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোটেল র্যাডিসন ব্লু ঢাকায় ‘নর্ডিক ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সরকার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“তবে নির্বাচনই সব সমস্যার সমাধান নয়, কাঠামোগত সংস্কারও জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া এই সংস্কার কার্যকর হবে না।”
তিনি বলেন, “বিচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, যেন অতীতের অন্যায়ের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়। আগের দমনমূলক শাসনের সময় যারা নিহত, আহত বা অন্ধ হয়ে গেছেন, তাদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।”
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণের মধ্যে তাড়াহুড়ো থাকলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে সুসংগঠিত প্রক্রিয়া প্রয়োজন। প্রক্রিয়া সঠিক না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল ন্যায়সংগত হবে না।”
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সামলানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ছয় মাসে আমরা ১৮০টি আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করেছি। প্রচলিত পুলিশি কৌশল ব্যবহার না করে ধৈর্য দেখিয়েছি, যা হয়ত একদিন স্বীকৃতি পাবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের সামনে আরেকটি সুযোগ নেই। বাংলাদেশ বারবার গণতন্ত্রের জন্য লড়তে পারে না, এবার সঠিক পথেই হাঁটতে হবে।
“সংস্কারের চাপ যেমন আছে, তেমনি দ্রুততম সময়ে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বও আমাদের কাঁধে।”
উপদেষ্টা রিজওয়ানা নর্ডিক দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আপনাদের সহায়তা শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নয়, নাগরিক সমাজের জন্যও মূল্যবান।
“সরকারে যোগদানের আগে যখন আমি একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালনা করতাম, তখনও আপনাদের সমর্থন পেয়েছি।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হোকন আরল্ড গুলব্রান্ডসেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বক্তব্য দেন।