অডিও, ভিডিও, ফটোগ্রাফ ও লেখাসহ যেকোনো ধরনের তথ্যই পাঠানো যাবে কমিশনের কাছে।
Published : 29 Jul 2024, 08:51 PM
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় প্রাণহানি, শিক্ষার্থীদের ‘নির্যাতন’, গুলি ও ‘গণগ্রেপ্তার’ তদন্তে শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ‘জাতীয় গণ তদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্য যুগ্ম সদস্য সচিব তানজিমুদ্দিন খান ও মাহা মির্জা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
‘কমিশনের’ অন্য সদস্যরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান, সাংবাদিক আবু সাইয়িদ খান ও আশরাফ কায়সার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন ও আইনজীবী অনীক আর হক।
কমিশনের যুগ্ম সভাপতি হবেন বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও সুলতানা কামাল।
‘কমিশনে’ উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তোবারক হোসেন, সারা হোসেন, আইনজীবী শাহদীন মালিক, শিক্ষক সলিমুল্লাহ্ খান, সাইমুম রেজা তালুকদার ও কাজী মাহফুজুল হক সুপন, আইনজীবী রাশনা ইমাম ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের ‘বেধড়ক পিটিয়ে’ সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
এই সহিংসতার প্রতিবাদে বাংলাদেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ পথে নেমে এলে রংপুরে আবু সাঈদকে সরাসরি বুকে গুলি করা হয়। কিন্তু পুলিশের মামলায় সাধারণ ছাত্র ও জনগণকে দায়ী করা হয়।
এতে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, “এইসব ঘটনায় সত্য উদঘাটনের দাবি উঠেছে।”
এ ঘটনায় পত্রিকার হিসাবে অন্তত ২০৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারি হিসেবে তা ১৪৭ জন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
আন্দোলনের সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি ও গ্রেপ্তারসহ নানা সহিংস উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “তাতে সংবিধান, প্রচলিত আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আবশ্যকতা রয়েছে।
“এরই অংশ হিসেবে দেশের শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কয়েকজন প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন' গঠন করা হয়েছে।”
সব ‘সচেতন ব্যক্তিকে’ গত ১ জুলাই থেকে সংগঠিত বিভিন্ন সহিংস নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুলিবর্ষণ, হুমকি, মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় তথ্য কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য শিগগিরই অনুরোধ জানানো হবে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
এই সংক্রান্ত অডিও, ভিডিও, ফটোগ্রাফ ও লেখাসহ যেকোনো ধরনের তথ্যই পাঠানো যাবে বলেও জানানো হয় এতে।