এখন থেকে প্রতি বছর মিরপুরের গোলারটেক মাঠে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে ঈদের প্রধান জামাত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র।
Published : 17 Jun 2024, 11:16 AM
কোরবানির পশুর বর্জ্য ছয় ঘণ্টায় অপসারণের লক্ষ্যের কথা আবারও তুলে ধরে এ কাজে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার ঈদের সকালে তিনি নগারবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, “আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ, আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহযোগিতা করুন। হট লাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নেবে।”
সকালে মিরপুর গোলারটেক মাঠে ঈদের নামাজ পড়েন মেয়র আতিক এবং উত্তর সিটির কাউন্সিলররা। উত্তর সিটির আয়োজনে এবারই প্রথম এ মাঠে ঈদ জামাতের আয়োজন হয়েছে।
ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশবাসী ও নগরবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান।
মেয়র বলেন, “প্রথমবারের মত ডিএনসিসির উদ্যোগে প্রধান জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। মুসুল্লিরা নির্বিঘ্নে স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করেছেন। গোলারটেক মাঠটি একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ। এই মাঠটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হত না। জানতে পেরেছি, এখানে মাদকাসক্তরা মাদক সেবন করে। এটা হতে দেওয়া হবে না।"
এ মাঠের উন্নয়ন করে খেলাধুলার ব্যবস্থা করার কথা বলেন মেয়র। তিনি বলেন, “লাইট লাগিয়ে দেব, যেন রাতেও যুবকরা এখানে খেলাধুলা করতে পারে। এ মাঠে ঈদের জামাত আয়োজন হলে এর পবিত্রতা এলাকাবাসী রক্ষা করবে।”
এখন থেকে প্রতি বছর এই গোলারটেক মাঠে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে ঈদের প্রধান জামাত হবে বলে জানান মেয়র।
এ মাঠের ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মিরপুর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের খতিব মুফতি এমদাদুল্লাহ। ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন এবং কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ মাঠে ঈদের নামাজ পড়েন।
যত্রতত্র কোরবানির পশুর বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা নগরবাসীকে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পলিব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন সরবরাহ করেছি। বর্জ্য অপসারণে দশ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োজিত আছে। ডিএনসিসির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা কর্মচারী ও আমি নিজে মাঠে আছি। কোরবানির বর্জ্য পলিব্যাগে ভরে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেবেন। আমাদের কর্মীরা সংগ্রহ করবে।"
ঢাকায় কোরবানি করা পশু এবং কোরবানির হাট মিলিয়ে অন্তত ৩৯ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে ধরে নিয়ে সেগুলো দ্রুততম সময়ে অপসারণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে এই বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে।
গতবারের ঈদের অভিজ্ঞতায় সিটি করপোরেশন যে কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছে তাতে এবার সাড়ে ১২ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
গত বছর ঈদের তিন দিনে ১৯ হাজার ৬৪৪ টন বর্জ্য অপসারণ করেছিল ঢাকার উত্তর অংশের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এই করপোরেশন। এবার বর্জ্য আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলেও কর্মকর্তাদের ধারণা।