জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায় পেছানোয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
Published : 04 Feb 2015, 08:48 PM
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন সড়ক ঘুরে অমর একুশের পাদদেশে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি তন্ময় ধর বলেন, “আমরা আজকের রায় পেছানোর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এই রায় পেছানো সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন।
তিন বছরের বেশি সময় বিচার চলার পর বুধবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় রায় পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার নতুন দিন রেখেছেন।
তন্ময় ধর বলেন, “রায় নিয়ে আর কোনো লুকোচুরি না করে ৮ তারিখেই রায় দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং রায়ের পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।”
এ সংগঠনের সংগঠকদের ফেইসবুকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলিশ খুনিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বললেও খুনিরা ফেইসবুকে বেশ সক্রিয়। ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট ট্রেস করার মাধ্যমে খুনিদের অবস্থান জানা সম্ভব।”
এ মামলার ১৩ আসামিদের মধ্যে চারজন শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যান। নিহত জুবায়ের এবং আসামিরা সবাই সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
রায় পেছালে সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয় মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আক্তার হোসাইন বলেন, “অসামিদের আদালত থেকে পলায়ন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতা, বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ফেইসবুকে হুমকি দেওয়া এ ধারণাই দৃঢ় করে যে খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।”
তবে আদালত রায় পেছানোর যে কারণ দেখিয়েছে তার ‘বাস্তবতা থাকতে পারে’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।