বিচারাধীন বিষয় বলে এই বিষয়ে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আজকের আদালতে যে রুল ইস্যু করা হয়েছে, তা পাক-ভারত উপমহাদেশের জন্য নতুন ধরনের রুল। বিদেশেও এ ধরনের আদেশের কথা আমার জানা নেই।”
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা, এই দলটির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা মাথায় নিয়ে সাত বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক গত কয়েকমাসে প্রবাসে কয়েকটি সভায় বক্তব্য রাখেন, যা নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
খালেদা জিয়ার ছেলেকে নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে এক আইনজীবী তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন।
তার শুনানির পর মঙ্গলবার হাই কোর্ট এক আদেশে তারেক রহমান যতদিন আইনের দৃষ্টিতে ‘পলাতক’ থাকবেন, ততদিন তার কোনো বক্তব্য-বিবৃতি সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
আদালতের আদেশের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, “এটা একটা বিচারাধীন বিষয়। রুল শুনানির পর যদি দেখা যায়, যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বেআইনি; তখন যা হওয়ার আইন অনুসারে হবে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা অতীতে দেখেছি অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড নেতা, ফেরারি আসামি বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশে কোনো বিধি-নিষেধ সরকার দেয়নি, আদালতই দেননি।
“আল কায়দার নিউজ দিচ্ছে না? বড় সন্ত্রাসীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে বক্তব্য দিচ্ছে না?”
বাংলাদশের নাগরিক হিসেবে তারেক রহমানের বাক স্বাধীনতা রয়েছে জানিয়ে এই আইনজীবী নেতা বলেন, “তারেক রহমান যদি কোনো বক্তব্য দিয়ে থাকেন, তিনি তার সাংবিধানিক সেই অধিকারের বলেই বলেছেন। সেটা কতটা আইনী বা বেআইনি, তা আদালতই নির্ধারণ করতে পারে।
“আমি যা বলেছি, সেটা বাক স্বাধীনতার পরিধি অতিক্রম করা হয়েছে কি-না, (রুল শুনানির পর) সেটা আদালত নির্ধারণ করবে। তার আগেই সেটাকে বন্ধ করে দেওয়া সঠিক না।”
তবে বাক স্বাধীনতার মানে ‘যা খুশি, তাই বলা বা করা নয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশের প্রচলিত আইন মেনেই বাক স্বাধীনতা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
“যে পর্যন্ত এটা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত না হবে, সে পর্যন্ত আমার বাক স্বাধীনতা রোধ করার ক্ষমতা আদালতের কতটুকু আছে, তা আদালতকেই নির্ধারণ করতে হবে। সবশেষে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আদালতের রায় আমরা মেনে নেব।”
“আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বাক স্বাধীনতা খর্ব করে আদালত (রুল শুনানির পর চূড়ান্তভাবে) শেষ পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেবেন না,” বলেন তিনি।