বোর্ড নির্ধারিত ফি’র বাইরে এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেওয়ায় অভিযোগে ঢাকার ২৬ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
Published : 14 Dec 2014, 07:00 PM
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া একটি প্রতিবেদন পেয়ে রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আলিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, জান্নাত একাডেমি, সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ফায়দাবাদের দ্য চাইল্ড ল্যাবরেটরি স্কুল, উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, আজমপুরের হাজী বিল্লাত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, লালবাগের রায়হান কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি, ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল, আর্মানীটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ, নিউমার্কেটের গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল এবং মোহাম্মদপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১০ নভেম্বর হাই কোর্টের এই বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে এ বিষয়ে রুল দেয়।
রুলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি-এর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।
কিশোরগঞ্জের গোবিন্দপুর হাই স্কুলের অভিভাবকের পক্ষে মাহফুজুর রহমান রোমান শুনানি করেন। দৈনিক যুগান্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।
‘এসএসসির ফরম পূরণ শুরু, আটগুণ বাড়তি ফি আদায়’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওই রুল হয়েছিল।
হাই কোর্ট ওই দিন রুল জারির পাশাপাশি অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বোর্ডের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চায়।
এই নির্দেশের পর বোর্ড তদন্ত কমিটি করে একটি প্রতিবেদন দেয়। এই প্রতিবেদন ভিত্তিতে আদালত তলবের এই আদেশ দেয়।