শনিবার থেকে জনসচেতনতার কাজ শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চালানোর পর মঙ্গলবার থেকে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ জানিয়েছেন।
ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে সড়কের মধ্য দিয়ে পারাপারের শাস্তি ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা ২০০ টাকা জরিমানা।
রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে থেকে ফার্মগেইট পুলিশ বক্সের সামনে রাস্তা পর্যন্ত সড়কে মঙ্গলবার একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করবে বলে ডিএমপি কমিশনার শনিবার তার কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান।
তিনি বলেন, “ফার্মগেইট, কারওয়ান বাজারের ব্যস্ত সড়কে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার না করে কেবল হাত উঁচু করে বাস থামিয়ে রাস্তা পার হন। এতে তাদের যেমন জীবনঝুঁকি রয়েছে, তেমনি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাতেও সমস্যা দেখা দেয়।”
মূলত নগরবাসীকে সচেতন করতেই পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে বেনজীর বলেন, “এ উদ্যোগ একটি জায়গায় কার্যকর হলে ঢাকাবাসী সচেতন হবে। আশা করছি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার না হয়ে ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার করবেন সবাই।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান সরদার, মিলি বিশ্বাস, আবদুল জলিল, উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
উল্টো চলাচল ঠেকাতে আবার প্রতিরোধক
একবার বসিয়ে তুলে নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে সড়কে গাড়ির উল্টো চলাচল ঠেকাতে আবার স্বয়ংক্রিয় প্রতিরোধক যন্ত্র বসিয়েছে মহানগর পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে।”
আগেরবার ঘটা করে ভিআইপি সড়ক হেয়ার রোডে বসানো হলেও এবার নীরবেই তা বসানো হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে।
এই প্রতিরোধক যন্ত্রটি অনেকটা কাঁটার মতো আড়াআড়িভাবে সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত বিস্তৃত। গাড়ি উল্টো দিক থেকে এটি অতিক্রম করতে গেলে চাকা ফুটো হয়ে যায়।
শনিবার ভোরে প্রতিরোধক যন্ত্রটি চালু করা হলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুপুরে দেখা যায়, এর কয়েকটি কাঁটা নষ্ট হয়ে গেছে।
গত ২৩ মে হেয়ার রোডে বসানো যন্ত্রটি তৈরি করে দিয়েছিল ধোলাইখালের সোহেল মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। এবারের যন্ত্রটিও তারাই তৈরি করেছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আনুষ্ঠানিকভাবে হেয়ার রোডের যন্ত্রটি উদ্বোধনের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাঁটাগুলো নষ্ট হতে শুরু করে।
এর মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স এতে আটকে গিয়েছিল একদিন এবং এক মন্ত্রীর গাড়ির চাকাও ফুটে হয়ে যায় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। এরপর যন্ত্রটি তুলে নেওয়া হয়েছিল।