গাজা নিয়ে জাতিসংঘের সমালোচনায় হাসিনা

ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কোনো কার‌্যকর ভূমিকা রাখছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2014, 02:43 PM
Updated : 6 August 2014, 06:55 PM

ইরানের সংসদীয় নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ তিনি।

ফাতেমেহ রাহবারের নেতৃত্বে চার সদস্যের ইরানের সংসদীয় নারী প্রতিনিধি দল বুধবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, “যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তারা এখন নীরব ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।”

গাজায় ইসরায়েলের হামলার পরও ওআইসি ও আরব লীগ যথাযথ ভূমিকা  পালন না করার  কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব গ্রহণের কথা ইরানের নারী সংসদীয় প্রতিনিধিদলকে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসরাইলের ভূমি দখল করে রাখার এই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না। একদিন ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবেই।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সক্রিয় অবস্থানের প্রশংসা করেছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

শামীম চৌধুরী জানান, “প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষ ও রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে উল্লেখ করে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গাজার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

“তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আপনি আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।”

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো গাজার সমস্যা সমাধানে নীরবতা ভেঙে এগিয়ে আসবে বলে ফাতেমেহ রাহবার আশা প্রকাশ করেছেন।

গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী সীমান্ত রাফা ক্রসিং খুলে দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ইসরায়েলের প্রায় এক মাসের অভিযান দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

সাক্ষাতকালে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ইরানের নারী সাংসদরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তার সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইরান ও বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের প্রতিনিধিদলের মধ্যে সফরের উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও ভ্রাতৃপ্রতীম হিসাবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাতকালে শামীম চৌধুরী ছাড়াও মুখ্য সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার এবং বাংলাদেশে ইরানের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স রেজা আলায়ি উপস্থিত ছিলেন।