জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার ৬ আসামির জামিন বাতিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে আগামি ১৮ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেয়া হবে।
Published : 13 Feb 2014, 07:49 PM
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে এই দিন ঠিক করেন।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য বর্তমানে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন সাক্ষ্যও দেন।
পরে তাকে জেরা করেন আসামি নাজমুস সাকিব, খান মো. রইস ও মাহবুব আকরামের আইনজীবীরা।
পরে ৬ ফেব্রুয়ারি ৬ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেন বিচারক।
৬ আসামি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইস, জাহিদুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ এবং রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম ।
প্রায় দুই বছর আগের এ হত্যা মামলায় ৩৭ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১০ জন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় নিহত হন আরেক পক্ষের কর্মী ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের ছাত্র জুবায়ের।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ৩৭তম ব্যাচের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ।
আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রিয়াজ, জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম, ইতিহাস বিভাগের মাহমুদুল হাসান, মাজহারুল ইসলাম, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের নাজমুল হাসান প্লাবন।
ওই হত্যার ঘটনার পর খুনিদের মদদদাতা হিসেবে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয় উপাচার্যকে।