শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র হাতে চড়াও হওয়ার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সমালোচনার মধ্যে ছাত্রলীগ সংগঠনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
Published : 03 Feb 2014, 09:53 PM
বহিষ্কৃতরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ সেতু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন।
রোববারের ওই ঘটনার পর সোমবার রাতে সরকার সমর্থক সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দুজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
ওই ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে একটি কমিটি করেছে। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সেতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তার ছাত্রত্ব বাতিলের প্রতিবাদে ২০১৩ সালে ১৬ মার্চ পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভাংচুর চালানো হয়, যাতে তিনি নিজেও ছিলেন।
রোববারের ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ মন্তব্য করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “জড়িত নেতা-কর্মীদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আমরা সুপারিশ করেছি।”
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১২ সালে সংগঠনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কর্মী নিহত হলে তুহিনকেও বহিষ্কার করেছিল ছাত্রলীগ। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র হাতে যাদের দেখা গিয়েছিল, তাদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক আল-গালিব ও ফয়সাল আহম্মেদ রুনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাকিন বিল্লাহ, ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত সালাম রয়েছেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন করতে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটি।
ছাত্রলীগ যে তদন্ত কমিটি করেছে, তার প্রধান করা হয়েছে সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দীকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি শাহিনুর রশীদ সোহেল ও জিয়াউল হক জিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স ও বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর রোববার অস্ত্র হাতে চড়াও হয় সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।
তবে ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তারা বলছেন, তাদের ওপরই ইট ছোড়া হয়েছিল।