জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যামামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী এক ছাত্রকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Published : 19 Jan 2014, 05:39 PM
রোববার দুপুরে পুরান ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণে এই হুমকি দেয়া হয় বলে আক্রান্ত ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম ব্যাচের রাজিব উল ইসলাম অভিযোগ করেছেন।
দ্রুত বিচার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলী এস এম রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমি তাদের কোতোয়ালি থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছি।”
এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার প্রক্রিয়া চলছে।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় নিহত হন আরেক পক্ষের কর্মী ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের ছাত্র জুবায়ের।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট আন্দোলনে খুনিদের মদদদাতা হিসেবে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। ওই আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয় উপাচার্যকে।
জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১৩ ছাত্রের বিচার চলছে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ।
রাজিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানি শেষে আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, মাহবুব আকরামসহ আরো কয়েকজন আমাদের গালাগালি শুরু করে।
“এ পর্যায়ে আকরাম আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বলতে থাকে ‘একটা লাশ তো পড়েছে, সাজা না হলে দেখিস আরো কয়েকটা লাশ পড়বে’।”
হামলা থেকে কোনোমতে বেঁচে দৌড়ে একটি বাসে উঠে পালিয়ে আসেন রাজিব।
নিহত জুবায়ের আহমেদ
হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ৩৭তম ব্যাচের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ।
আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু এবং অভিনন্দন কুন্ডু অফি, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রিয়াজ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইশতিয়াক মেহবুব অরুপ এবং রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম, ইতিহাস বিভাগের মাহমুদুল হাসান এবং মাজহারুল ইসলাম, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের নাজমুল হাসান প্লাবন।