বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার উদ্বোধন

রাজধানীতে দেশের দীর্ঘতম উড়াল সড়ক চালুর একদিনের মাথায় যান চলাচলের জন্য খুলল চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার।

চট্টগ্রাম অফিসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2013, 03:51 AM
Updated : 12 Oct 2013, 05:45 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চট্টগ্রামে এক দিনের সফরের প্রথম কর্মসূচিতে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন।

বহদ্দারহাট মোড় প্রান্তে ফিতা কেটে বন্দর নগরীর এই ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের পর হাজার হাজার মানুষ দেখার জন্য ফ্লাইওভারের ওপর উঠে পড়ে।

গুলিস্থান-যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্ধারিত সময়ের পরে চালু হলেও বহদ্দারহাট উড়াল সেতু খুলেছে নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগে।

বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা এবং কক্সবাজারের সংযোগ রক্ষাকারী সড়কে ১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএর নিজস্ব অর্থায়নে ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের ২৪ নভেম্বর গার্ডার ধসে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর পর থেকে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজের তদারকি করছে সেনাবাহিনী।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম আগে বলেছিলেন, উদ্বোধনের পর ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও ছোট ছোট কিছু কাজ চলবে। পুরোপুরি কাজ শেষ হলে তা সিডিএকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে বসে মোট ২১টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি, ভিত্তিস্থাপন করেন আটটি প্রকল্পের। এরপর সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

সকালে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নামেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়ক পথে তিনি নগরীর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার এলাকায় আসেন। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী যান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে।

সুধী সমাবেশ শেষে সড়কপথে আবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দরবারে যোগ দেবেন তিনি।

সেনানিবাস থেকে বিএমএ’র উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। সেখানে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধনের পর পতেঙ্গায় নেভাল একাডেমিতে অন্য একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফিরে যাবেন তিনি।

সর্বশেষ ২৯ অগাস্ট চট্টগ্রামে এসে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন ছাড়াও ফটিকছড়িতে একটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।  

প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন

অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক, দেওয়ানহাট ওভারপাস, সল্টগোলা কর্মজীবী মহিলা ডরমিটরি, ঢাকা ট্রাংক রোড (অলংকার থেকে দেওয়ানহাট), আরাকান রোড, হাটহাজারী রোড (অক্সিজেন-অলিখাঁ মসজিদ), পাঠানটুলি রোড, কলেজ রোড (গণি বেকারি-অলিখাঁ মসজিদ), সিডিএ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিপণি বিতান বি ব্লক (দশম তলা), ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় শিক্ষা কমপ্লেক্স।

পটিয়া পৌরসভা, রাউজান উপজেলায় ২৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুত প্লান্ট, রাংগুনিয়া উপজেলায় শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকো পার্ক, রাউজানে মহাকবি নবীন চন্দ্র সেন স্মৃতি কমপ্লেক্স, সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফেরিঘাটের জেটি, মিরসরাই উপজেলা অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার, পটিয়ায় গোবিন্দরখালী সুপার মার্কেট কাম কমিউনিটি সেন্টার, ফটিকছড়ি উপজেলার ফতেহপুর কমিউনিটি সেন্টার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

পটিয়া পৌরসভা বাস টার্মিনাল ও পটিয়া পৌর অডিটরিয়াম, রিজবিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা, বিবিরহাট আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চান্দগাঁও, বাঁশখালী বহুমুখি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রি কলেজ’র বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র।