অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মালয়শিয়ায় বড় ধরনের অভিযানের শুরুতে এক হাজারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ৩৭ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
Published : 01 Sep 2013, 09:05 PM
শনিবার মধ্যরাত থেকে তিন পর্যায়ে এই অভিযান শুরু হয়েছে, যা বছরের শেষ নাগাদ চলবে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্রটির তথ্য অনুযায়ী প্রথম দিনের অভিযানে এক হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এর মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে মালয়শিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বারনামা।
প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার মালয়শিয়ায় মোট শ্রমশক্তির ১৬ শতাংশই বিদেশি। দেশের ওপর চাপ কমাতেই অবৈধদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে নেমেছে দেশটির সরকার।
মালয়শিয়ার অভিবাসন দপ্তরের উপ-পরিচালক সারাভানা কুমার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, অভিযানে প্রায় ৪ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ধরে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বারনামা জানায়, মধ্যরাতে তিনটি পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার শুরু হয়। বৈধ কাগজ ছাড়া প্রবেশ এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থানের অপরাধে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে ‘অপস বারসেপাদো ৬পি’ নামে অভিবাসন বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে মালয়শিয়ার মেলাকা রাজ্যের বাচাং এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ৪০৩ জনকে ধরা হয়েছে বলে জানান রাজ্য অভিবাসন পরিচালক কামালুদ্দিন ইসমাইল।
এর মধ্যে ২১ জন বাংলাদেশি বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এই ৪০৩ জনের মধ্যে ২০৩ জন ইন্দোনেশিয়ার, ১০০ জন মিয়ানমারের, ৬৩ জন নেপালের, ১০ জন ভারতের এবং ছয় জন ভিয়েতনামের নাগরিক।
সুঙ্গাই পেতানির ভিন্ন দুটি এলাকায় রোববার সকালের দিকে ‘অপস সেলেরা’ নামে অভিযানে ১০ জন নারীসহ ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে কেদাহ অভিবাসন বিভাগের দল, যাদের মধ্যে ১৬ জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই বিভাগের এনফোর্সমেন্ট শাখার প্রধান নার আজমান ইব্রাহিম।
১২০ জনের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছাড়া ৫৩ জন মিয়ানমারের, ৪০ জন ইন্দোনেশিয়ার, ছয়জন নেপালের, চারজন পাকিস্তানের এবং একজন ভারতের নাগরিক রয়েছে।
আর ১০ নারীর মধ্যে পাঁচজন মিয়ানমার ও পাঁচজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। গ্রেপ্তারকৃত বিদেশিদের বয়স ১৪ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
এর আগে মেলাকায় অভিযানের সময় একটি বিনোদন কেন্দ্র থেকে ১১ জন চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ায় ওই অভিযানে এক মালয়শিয়ানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কামালুদ্দিন।
এছাড়া কাম্পার এলাকায় একটি নতুন নির্মাণ স্থলে সকালের দিকে ‘অপস বারসেপাদো ৬পি’র পৃথক অভিযানে এক নারীসহ ১২ জনকে ধরা হয়েছে।
এদের মধ্যে বাংলাদেশি থাকার কথা জানালেও কতজন, তা জানাতে পারেননি পার্ক অভিবাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ওয়ান মাহমুদ জুহদি ওয়ান হাসান।
২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী এই অভিবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছে।