স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে ‘রাজাকার’ বলায় দায়ের করা মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি চান না বলে আদালতকে জানিয়েছেন কাদের সিদ্দিকী।
Published : 30 May 2013, 05:45 PM
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাতিরপুলের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণমূলক সংগঠন ন্যাশনাল এফএফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মজুমদার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পক্ষে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগ গঠনের শুনানিতে কাদের সিদ্দিকী নিজেই শুনানি করেন।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন’ এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর, আলসামস বাহিনী সৃষ্টি করে ‘তাদের বেতন ভাতা দিতেন’।
“এ মামলা তাড়াতাড়ি শেষ হোক এটা আমি চাই না। কারণ এ মামলার কার্যক্রম চালু থাকলে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। আমি এ মামলায় অব্যাহতিও চাই না।”
মামলায় যার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তিনি ছাড়া অন্য কেউ মামলা করলে মানহানি মামলা চলে না বলেও আদালতে উল্লেখ করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান।
এ সময় বাদী তার কথায় আপত্তি জানিয়ে বলেন, “ঢালাওভাবে কাউকে রাজাকার বলা যায় না। মহীউদ্দীন খান আলমগীর সে সময় ডিসি থাকলেও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।”
পরে কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পাকিস্তান সরকারের চাকরিরত কর্মকর্তাদের তালিকা আদালতে জমা দেন।
এ পর্যায়ে বিচারক বাদী ও তার আইনজীবীর কাছে মামলা করার কারণ জানতে চেয়ে বলেন, “কেন আপনি মামলা করেছেন? আপনার বিরুদ্ধে তো কাদের সিদ্দিকী কিছু বলেননি। আর এরকম কথা রাজনৈতিক ময়দানে অনেকেই অনেকের বিরুদ্ধে বলেন। তার জন্য কেন মানহানির মামলা হবে। এ রকমভাবে কথায় কথায় মামলা হতে থাকলে আদালত মামলায় ভরে যাবে।”
দুই পক্ষের বক্তব্য শেষে আদালত কাদের সিদ্দিকীর আগের জামিন বহাল রাখার মৌখিক আদেশ দেন।