‘সুন্দরভাবে’ দায়িত্ব পালন জন্য সবার সহযোগিতা ও দোয়া চান তিনি।
আবদুল হামিদ বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেব এখানে আছেন। আমি আশা করব তিনি আমাকে উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন। এছাড়া এখানে অনেক যোগ্য ব্যক্তি আছেন তারাও আমাকে সহযোগিতা দেবেন বলে আমি আশা করি।”
বর্তমান সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আট মাস বাকি থাকতে বুধবার দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিতে যাচ্ছেন আবদুল হামিদ, যিনি সাতবার সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন এবং দুই দফা স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর কারণে আবদুল হামিদই অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নির্বাচন কমিশন রোববার তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে। তিনি আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সরকার চলতি বছর আবদুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। এ উপলক্ষেই জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
সাবেক সেনা শাসক এইচ এম এরশাদ অনুষ্ঠানে বলেন, “নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তন হয় না। আমি নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রতি আহ্বান জানাবো, আপনি সবাইকে ডাকুন। সবাই মিলে আলোচনা করে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করি।”
মহাজোট সরকারের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদও মনে করেন, দেশ একটি সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
“সামনে অন্ধকার। আপনি (হামিদ) সবাইকে ডাকুন। আমরা সবাই মিলে আলোর সন্ধান করি।”
স্পিকার হিসাবে আবদুল হামিদের দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করে এরশাদ বলেন, “আবদুল হামিদ সবাইকে হাসিয়ে সংসদ পরিচালনা করতেন। আপনি (হামিদ) এবার জাতির মুখে হাসি ফোটাবেন, এটাই চাই।”
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, “এটি নির্বাচনের বছর। আর রাষ্ট্রপতির পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
বক্তব্য দেয়ার শুরুতে আবেগ আপ্লুত হামিদ রুমালে চোখ মুছতে মুছতে বলেন, “এই সংসদে আমি ৪২ বছর কাটিয়েছি। আজকের দিনটা আমার জন্য বিষাদের। যেখানেই থাকি মন এখানেই থাকবে।”
তিনি বলেন, “আমি হয়তো বঙ্গভবনেই থাকব। তবে অন্য রাষ্ট্রপতির চেয়ে আমি বেশি সংসদে আসব।”
সাংসদদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে এসে জাসদের ম্ঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, “বাংলাদেশ অনেক ধরনের রাষ্ট্রপতি দেখেছে। আরোপিত রাষ্ট্রপতিও দেখেছে।... অনেক দিন পর একজন ভূমিপুত্র সকলের প্রতীক হয়ে দাঁড়াবেন-এটাই কামনা।”
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতি সকলের ঐক্যের প্রতীক। আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সব দলের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলীর সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ, হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বক্তব্য দেন।