পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
Published : 02 Apr 2013, 01:36 PM
এ মামলায় পলাতক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
এছাড়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
ওই আবেদন করেছিলেন আইনজীবী মাহবুবুল আলম দুলাল।
বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় এই আইনজীবী গত ১৩ ডিসেম্বর বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে যে ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে তার মধ্যে সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক।
এই ২১ আসামির সবাই ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রায় তিন মাস পর গত ৫ মার্চ এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, রাজন তালুকদার, ইউনুস আলী, কাইউম মিয়া টিপু, এইচ এম কিবরিয়া, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, আজিজুর রহমান, আলাউদ্দিন, ইমরান হোসেন, মোস্তফা, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাশেদুজ্জামান শাওন, মীর নূরে আলম লিমন, আল-আমিন, সাইফুল ইসলাম, রফিক, এমদাদুল হক, কামরুল, তমাল, পাভেল ও মোশাররফ।
এদের মধ্যে শাকিল, নাহিদ, এমদাদ, শাওন, কিবরিয়া, সাইফুল ও কাইয়ুমকে অভিযোগপত্রে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার চার আসামি ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যাতে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
যদিও ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছিল, বিশ্বজিতের ওপর হামলাকারীরা কেউই ছাত্রলীগের কর্মী নয়।
গত ৯ ডিসেম্বর বিরোধীদলের অবরোধের সময় পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে দরজি দোকানি বিশ্বজিতকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।