ঢাকা, ডিসেম্বর ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলার নদী রক্ষা এবং সীমানা চিহ্নিত করতে পিলার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
বুধবার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা বাজার লঞ্চঘাটে সীমানা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের সূচনা করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং ভূমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা।
নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ, নদীতীরে হাঁটাপথ নির্মাণ, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, “নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”
নদীর নাব্যতা রক্ষায় গঠিত টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু এবং ধলেশ্বরী নদীর তীরে এসব সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে শুধু ঢাকা জেলায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে মোট ৮ হাজার ৬৭টি পিলার স্থাপিত হবে। এ জন্য ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
বর্তমান সরকার নদী খননে ১১ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকার একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, মৃতপ্রায় নৌপথের নাব্যতা উন্নয়নে ড্রেজার কেনার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজার বহরে নতুন তিনটি ড্রেজার সংযোজিত হয়েছে এবং এ মাসে আরো ১০টি ড্রেজার কেনার কার্যাদেশ দেওয়া হবে। এছাড়াও আরো সাতটি ড্রেজার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়াও ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীতীরে গাইড বাধ ও হাঁটাপথ (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ করা হবে। ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বুড়িগঙ্গার তীরে ৫ কিলোমিটার হাঁটাপথ (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ করা হচ্ছে।
ঢাকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু, সানজিদা খানম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান শামছুদ্দোহা খন্দকার এবং কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমকে/কিউএইচ/আরএ/১৯৩৩ ঘ.