পদ্মা সেতু চালুর একদিন পরই মোটর বাইক ওঠা বন্ধ করে দেওয়ার পর বাইকারদের দুর্ভোগের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান তিনি।
শনিবার উদ্বোধনের পর রোববার সকাল ৬টায় খুলে দেওয়া হয় বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে উঠতে ভোরেই শুরু হয় লাইন।
সেতুতে ওঠার এই মিছিলে সংখ্যায় সব চেয়ে বেশি ছিল মোটর সাইকেল। ১০০ টাকা টোল দিয়ে সেতুতে উঠে বাইকারদের অনেকেই নিয়ম না মেনে হুল্লোড়ে মাতেন।
সন্ধ্যায় সেতুতে মোটর সাইকেলে চড়ে মোবাইলে ভিডিও করার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণ যায় দুই তরুণের। তারপর সেতুতে মোটরসাইকেল ওঠা নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয় সেতু বিভাগ।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, “এটা যে অনির্দিষ্টকালীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ব্যাপারটা তা নয়। এটা এখন বন্ধ আছে, এটা একটা নিশ্চয়ই....মোটরবাইকের সম্পর্কে যেটা বলা হয়েছে সেখানে এখন স্পিড গান, সিসি টিভি বসানো হবে। সেগুলো স্থাপনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত।”
সিসি ক্যামেরায় নির্দিষ্ট স্থানের ভিডিও যেমন ধারণ করা যায়, তেমনি রাডার স্পিড গান যন্ত্রের মাধ্যমে চলন্ত গাড়ির গতি পরিমাপ করা যায়, যা বিভিন্ন দেশে সড়কে শৃঙ্খলা বজায়ে ব্যবহার হয়ে থাকে।
পদ্মা সেতু খোলার পর রেলিংয়ে নাট খোলার বিষয়টি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। নাট খোলার টিকটক ভিডিও তৈরিতে যুক্ত এক যুবককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর উদ্বোধনে অন্তর্ঘাতের শঙ্কার কথা সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলে আসছিলেন। এখন নাট খোলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, সাংবাদিকরা সেই প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের খালিদ মাহমুদকে।
জবাবে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি যে একজন নেত্রী, যিনি এতিমের টাকা আত্মসাতের জন্য কারাবরণ করে আছেন, তিনি নিজেই বলেছেন পদ্মা সেতুতে কেউ যাবেন না ভেঙে পড়বে, এটার নাট বল্টু জোড়াতালির। জোড়াতালির রাজনীতির অবস্থা তো এরকমই হবে। তাকে যারা ফলো করেন, তারা তো এটাকে সত্যই মনে করবেন।”