‘রাষ্ট্রবিরোধী’ বক্তব্য: মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২২ ফেব্রুয়ারি

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘মানহানিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রফিকুল ইসলাম মাদানী ও তার সহযোগী মাহমুদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2022, 09:50 AM
Updated : 2 Feb 2022, 11:10 AM

ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বুধবার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখ রেখেছেন।

এদিন মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আসামি মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জাও আদালতে হাজির ছিলেন।

মাদানীর পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী। আর মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন চান তার আইনজীবী পাপিয়া।

মাদানীর পক্ষে জামিন শুনানিতে তার আইনজীবী বলেন, “মাদানীর বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তার একই বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে পাঁচ-ছয়টি মামলা হয়েছে। এই মামলায় জামিন দিলেও তিনি বের হতে পারছেন না। তাই এই মামলায় আমরা জামিনের প্রার্থনা করছি।”

শুনানি নিয়ে মাদানীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। তবে তার সহযোগী মাহমুদুলের জামিন স্থায়ী করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।

আইনজীবীরা যুক্তি দেওয়ার সময় রফিকুল মাদানী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শুনছিলেন। শুনানি শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মানহানিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের  ৮ এপ্রিল এ মামলা করেন ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাদানী ইউটিউবে ‘প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে মানি না’, ‘সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সবকিছুতেই পাপ ও দুর্নীতিতে ভরে গেছে’- ইত্যাদি উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

এসব বক্তব্যের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

গত বছরের শেষের দিকে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বদলি হয়ে এ ট্রাইব্যুনালে আসে।

গত বছরের ৭ এপ্রিল নেত্রকোণার বাড়ি থেকে রফিকুল মাদানীকে আটক করে র‌্যাব। তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করার কথা জানানো হয় সে সময়।

এরপর গাজীপুরের গাছা থানায় দায়ের করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

গত ২৬ জানুয়ারি একই বিচারক গাছা থানায় র‌্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

পুরনো খবর