ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে সোমবার ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদের পর সেই জায়গায় শুরু হয়েছে খাল খনন।
মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, অভিযান চলার সময় সামনে ট্রাক স্ট্যান্ড থাকুক, বা দশ তলা ভবন থাকুক, কিংবা বাজার থাকুক, সব ভাঙা হবে।
“আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি, অবৈধভাবে যারা দখল করেছেন, তাদের উচ্ছেদ করতে আমি বৈধ নোটিস দিব না। খালটি দখল করে ফেলায় এসব এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। মানুষের ভোগান্তি হয়।
“খাল উদ্ধার কার্যক্রমে জনগণ আমাদের পাশে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আছেন, এরচেয়ে বড় সাপোর্ট আর লাগে না।”
আতিকুল ইসলাম বলেন, “লাউতলা খালটি উদ্ধারের পর খনন করে বুড়িগঙ্গার সাথে সংযুক্ত করে এতে পানি প্রবাহের সৃষ্টি করা হবে। নগরীর প্রত্যেকটি খালই মানচিত্র অনুযায়ী উদ্ধার করা হবে।”
লাউতলা খালের দুটি অংশ। একটি অংশের প্রস্থ প্রায় ১০০ ফুট, অন্যটি ৪৬ ফুট। তবে দুই অংশই অনেকটা ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছৈ বিভিন্ন স্থাপনা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি সরিয়ে লাউতলা খালকে মূল আকৃতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
রোববার এ অভিযানের শুরু থেকেই মেয়র আতিকুল ইসলাম মানচিত্র হাতে নিয়ে ঘুরে ঘুরে উচ্ছেদ কাজের তদারক করছেন। সারাদিন অভিযানে থাকায় নগর ভবনের অন্যান্য কাজের ফাইল যাতে আটকে না যায়, সেজন্য সোমবার তিনি লাউতলায় রীতিমত চেয়ার-টেবিল পেতে অফিসও করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।