শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরিকল্পনা আপাতত নেই: দীপু মনি

মহামারীর মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 12:06 PM
Updated : 2 Dec 2021, 12:06 PM

তিনি বলেছেন, “ওমিক্রনের কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হতে পারে। তবে আমাদের এ জাতীয় কোনো পরিকল্পনা এখনও নেই। আমরা চাই, ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকুক। আমরা আশা করছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা লাগবে না।”

মহামারীর কারণে এক বছর বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশে ঘটার পর গত বছরের মার্চ থেকে এই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ছিল সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষাও শুরু হয়েছে।

দেশে ভাইরাস সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী হলেও ওমিক্রন ইতোমধ্যে বিশ্বে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এখনও ওমিক্রন সংক্রমণ না ঘটলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে বৃহস্পতিবার প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা বিজ্ঞানের বাইরে গিয়ে তো কিছু করতে পারব না। সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা। তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।”

শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে তিনি বলেন, “এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, কিংবা টিকা প্রথম ডোজ দিয়েছে, তাদের পরীক্ষার পরপরই খুব দ্রুত টিকা দেওয়া হবে।"

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী বছরের ক্লাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম আগামী বছরের শুরু থেকেই ক্লাস সংখ্যা বাড়াতে, তবে ওমিক্রনের প্রভাবে টেকনিক্যাল কমিটি ক্লাস সংখ্যা না বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। সেটার ভিত্তিতে এখনই ক্লাস সংখ্যা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

প্রাক-প্রাথমিক ক্লাস চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানান তিনি।

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ‘সুযোগ নেই’ বলে মন্তব্য করেন দীপু মনি।

তিনি বলেন, “এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের যে পদ্ধতি, তাতে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে না। তবুও এর গুজব ছড়ানো এবং ফাঁসের কাজের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।”

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে পরীক্ষায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “২৩ তারিখেও আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা হবে। ওই দিন ইউপি নির্বাচনেরও তারিখ ছিল। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। তারা নির্বাচন পিছিয়েছে। যার কারণে ২৩ তারিখে পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।”

পরিস্থিতি দেখে আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা আগের মতোই বছরের মাঝামাঝি নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।