ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে সংস্কারের কাজ আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও তা পিছিয়ে মার্চে গেছে।
Published : 22 Nov 2021, 06:56 PM
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১১ মার্চ এই কাজ শুরু হয়ে ১০ জুন পর্যন্ত চলবে।
এই সময়কালে প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উঠানামা বন্ধ থাকবে।
সোমবার বিমানবন্দর থেকে এ সংক্রান্ত একটি নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক নোটাম অফিসের অফিসার ইনচার্জের পক্ষে আব্দুর রব স্বাক্ষরিত ওই নোটামে বলা হয়, বিমানবন্দরের হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য আগামী ১১ মার্চ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত রাত ১২টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩১ মে পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে রানওয়ে সংস্কারের কাজ চলবে।
বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে শাহজালাল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওঠানামা বেশি। এই সময়ে ২৫ থেকে ৩০টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে।
এই পরিকল্পনার শুরুতে বাংলাদেশ এভিয়েশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ টি এম নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে মূলত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো থাকে। ওই ফ্লাইটগুলোকে অন্য সময়ে সরিয়ে নেওয়া একটা সঙ্কট তো বটেই। বিমানবন্দরে ভিড়ও বাড়বে।”
মহামারীর ধকল কাটিয়ে বিমান চলাচল যখন স্বাভাবিক হচ্ছে, ঠিক তখনই ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে রানওয়ে সংস্কারের কাজে হাত দিল কর্তৃপক্ষ।
নজরুল ইসলাম মনে করেন, মহামারীর সময় সংস্কার কাজটা করলে ভালো হত।
“এই সংস্কার কাজটা ছয় মাস আগে মহামারীর মধ্যেও করা যেত। মহামারীর কারণে দীর্ঘ বন্ধ থাকার পর এখন আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আবার স্বাভাবিক হচ্ছে। দেশগুলো ভ্রমণের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে। এখন আট ঘণ্টা রানওয়ে বন্ধ থাকায় চাপ অনেক বাড়াবে।”
তবে রানওয়ের কার্পেটিং করাটাও জরুরি বলে মনে করেন নজরুল।