মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে অগ্রিম পরিশোধ করা ইভ্যালির ২২ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 07 Nov 2021, 07:54 PM
পেমেন্ট গেটওয়েতে এই গ্রাহকদের টাকা আটকে থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো.কামরুল হোসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশফাকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো.রাসেল চৌধুরী।
গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারির পর ইভ্যালি থেকে পণ্য কিনতে বিভিন্ন সময় এই গ্রাহকরা বিকাশ, নগদের মাধ্যমে ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৫ টাকা পরিশোধ করেন।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য কিংবা অগ্রিম পরিশোধ করা টাকা ফেরত না পেয়ে গত ২৪ অক্টোবর তারা হাই কোর্টে রিট করেন।
আশফাকুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে পণ্য না দিলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা। এই ২২ গ্রাহক ৩০ জুনের সার্কুলার জারির পর পণ্যের অর্ডার করে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু পণ্য বা টাকা কোনোটাই তারা এখনও ফেরত পাননি।
“তাই গ্রাকদের টাকা ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে। আদালত অন্তর্বর্তী আদেশসহ রুল দিয়েছেন।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের সার্কুলার অনুযায়ী, ইভ্যালি থেকে পণ্য কিনতে অগ্রিম পরিশোধ করা ২২ গ্রাহকের ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৫ টাকা ফেরতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদিদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, ডাক বিভাগের মহারিচালক, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিকাশের চেয়ারম্যান ও ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।