সাত দিনে কৃমির বড়ি পাবে প্রায় ৪ কোটি শিশু

কৃমি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ৩০ অক্টোবর থেকে সাত দিনে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩২ হাজারের বেশি শিশু শিক্ষার্থীকে বড়ি খাওয়ানো হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2021, 01:49 PM
Updated : 21 Oct 2021, 02:24 PM

রাজধানীর একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলবে।

কৃমির সংক্রমণ অনেক কমেছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে আমরা গ্রামেগঞ্জে গেলে দেখতাম অনেক ছেলেমেয়েরা খালি পায়ে হাঁটছে। হাত-পা চিকন, পেটটা অনেক বড়। এখন এটা তেমন দেখা যায় না।

“কারণ আগে দেশে স্যানিটেশনের অবস্থা ভালো ছিল না। এখন প্রায় শতভাগ বাড়িতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন। মানুষ যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে না। এখন পুকুরের পানি কেউ পান করে না। স্বাস্থ্য সেবাও মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।”

জাহিদ মালেক বলেন, “আগে ৮০ শতাংশ ছেলেমেয়ের কৃমির সংক্রমণে ভুগত, এই কার্যক্রমের ফলে এখন তা ৮ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। এটা বিরাট অর্জন। আশা করি, এভাবে কাজ করলে শূণ্যে নেমে আসবে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশে শূণ্য থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের ৭ শতাংশ, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ৩২ শতাংশ, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১৫ শতাংশ, ২৫ থেকে ৪৪ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের ৫ শতাংশ এবং ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের ৪ শতাংশের কৃমির সংক্রমণ রয়েছে।

এই সংক্রমণ ঠেকাতে ২০০৫ সালে প্রথম এই কর্মসূচী শুরু হয়েছে, বর্তমানে সারাদেশের ৬৪টি জেলায় এই কার্যক্রম চলছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক এবং ৩৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম চালানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অধীনে ফাইলোরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।