মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় পয়বর্জ্য নিষ্কাশন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তিনি ২১টি ভবন পরিদর্শন করে কোনো বাড়িতেই সেপটিক ট্যাংক পাননি।
“গুলশান, বনানী ও বারিধারার মত অভিজাত এলাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল নেই। ফলে অপরিশোধিত পয়বর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পড়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।”
আতিকুল ইসলাম বলেন, বাসাবাড়িতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
“আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আমরা অভিযানে বের হব। কোনো বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক না পেলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক নোটিস জারি করে সরকারি বিধি অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপনের জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল।
সেখানে বলা হয়েছিল, নিয়ম না মেনে অনেক বাসাবাড়ি ও স্থাপনার পয়ঃনিষ্কাশন লাইন সরাসরি ডিএনসিসির বিভিন্ন স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন, খাল, লেক ও জলাশয়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন ঢাকায় ১৫ লাখ ঘনমিটার পয়ঃবর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার ২০ শতাংশ রয়ে যায় উৎসে। আর মাত্র সাড়ে ৪০ হাজার ঘনমিটার যায় পাগলা পয়ঃশোধনাগারে। বাকি ১১ লাখ ৬০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় নিঃসরিত হয়ে নদীতে যাচ্ছে।
এভাবে নদী দূষণ বন্ধ না হলে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ওয়াসার পক্ষে ঢাকায় বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ সম্ভব হবে না বলে মত দেওয়া হয় ওই প্রতিবেদনে।