ঢাকার পল্লবী এলাকার তিন উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর না ফেরায় থানায় যোগাযোগ করেছে তাদের পরিবার।
Published : 01 Oct 2021, 08:52 PM
তারা তিনজনই মিরপুর-পল্লবী এলাকার তিনটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পরস্পরের বান্ধবী। তারা সবাই বাসা থেকে টাকা ও গয়না নিয়ে বের হওয়ায় পুলিশ ধারণা করছে, ওই তিন তরুণী হয়ত বিদেশে যাওয়ার চেষ্টায় আছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের বাইরে গিয়ে টিকটক ভিডিও করে অনেক টাকা আয় করা যায়- এমন একটি ধারণা তাদের মধ্যে ছিল। তারা পরিকল্পনা করে স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বের হয়ে গেছে বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা।”
এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানিয়েছেন উপ কমিশনার মাহাতাব। তবে সেই যুবকের পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।
পল্লবী থানার এসআই সজীব খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই তিন শিক্ষার্থীর একজনের বাবা ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। অবসরের পর মারা গেছেন। বাকি দুজনের বাবা ফেরি করে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেন।
তারা তিনজনই বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়েছে জানিয়ে এসআই সজীব বলেন, “দুপুরে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তারা কেউ না ফেরায় এক পরিবারের লোকজন অন্য পরিবারে সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয় যে তিনজনই একসাথে নিখোঁজ হয়েছে।
“তাদের একজন আগে থেকেই বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছার কথা পরিবারকে বলে আসছিল। আরেকজনের পরিবারে নানা সমস্যা চলছিল। এসব কারণে তিনজন একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করে কোথাও গেছে বলে মনে হচ্ছে।”
তবে তারা ঢাকার বাইরে গেছে- এমন কোনো প্রমাণ পুলিশ এখনও পায়নি। তাদের কারও পাসপোর্ট নেই বলেই পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। তাদের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ অবস্থান দেখা গেছে মিরপুর এলাকায়, এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ দেখা যাচ্ছে।
এসআই সজীব বলেন, “বুধবার রাতে তারা তিনজন দেখা করেছিল -এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। কেউ তাদের অপহরণ করেছে বলে এখনও মনে হচ্ছে না।“
উপ কমিশনার মাহাতাব উদ্দিন বলেন, “তারা সীমান্ত পার হয়ে গেছে, নাকি দেশে আছে- তা জানার চেষ্টা করছি আমরা। যে যুবককে আটক করা হয়েছে তাকেও এ বিষয়ে জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। “
পুলিশ ওই তিন শিক্ষার্থীর আরেক বান্ধবীর খোঁজ পেয়েছে জানিয়ে এসআই সজীব বলেন, “সে টিকটক ভিডিও বানানোর সাথে জড়িত। তার সাথে যোগাযোগ হয়েছে। বর্তমানে ফরিদপুরে আছে। তাকে আসতে বলা হয়েছে। তার সাথে কথা বলে কোনো তথ্য পাওয়া যায় কিনা আমরা দেখব।”