রাজধানীসহ দেশজুড়ে পশুর হাট জমতে শুরু করার পরপরই অনলাইনে বিক্রি কমতে শুরু করে বলে জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
সংগঠনটির হিসাবে, ১৯ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৪২৪ কোটি ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকার পশু বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার ই-ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পশুর হাট শুরু হওয়ার পরও গত ১৮ ও ১৯ জুলাই অনলাইনে ভালো বিক্রি হয়েছিল। তবে ঈদের ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার কিছুটা ভাটা পড়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বিক্রি কম।”
তিনি জানান, ১৯ জুলাই নাগাদ ডিজিটাল হাট থেকে সরাসরি বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪২৯টি পশু এবং ‘স্লটার বুকিং’ হয়েছে ২৬৪টি পশুর। সারাদেশে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৮টি পশু, মোট বিক্রির পরিমাণ ২ হাজার ৪২৪ কোটি ৯ লাখ ৩৬ হাজার।
১৭ জুলাই ডিজিটাল হাট থেকে সরাসরি বিক্রি হয়েছিল ৮১৭টি পশু এবং স্লটার বুকিং হয়েছে ২৬২টি পশুর। ওই দিন পর্যন্ত সারাদেশে অনলাইনে মোট বিক্রি হয়েছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮টি পশু, মোট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৬৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।
তমাল বলেন, “গতবারের তুলনায় এবার আমরা খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। ক্রেতারা এবার আগের চেয়ে সচেতন বেশি এবং তাদের আগ্রহও বেশি ছিল।”
ই-ক্যাবের হিসাবে, অনলাইনে ১ হাজার ৮৪৩টি ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে ঈদের আগের তিন দিনে গড়ে ২০০ কোটি টাকার বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে।
গত বছর অনলাইনে ২৭ হাজারের বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছিল।