এরা হলেন- বাছির ও মশিউর মিয়া।
অমিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার রাতে ঢাকার দক্ষিণখানে তার একটি অফিস থেকে ১০২টি পাসপোর্টসহ এই দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তাদের জামিন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
বিপুল সংখ্যক পাসপোর্ট রাখার অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে দক্ষিণখান থানার মামলায় এর আগে তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এদিকে নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং অমির বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলায় তিন নারী লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
পরীমনির মামলার পর উত্তরা থেকে উত্তরা বোট ক্লাবের সদস্য নাসির এবং অমিকে গ্রেপ্তারের সময় মদ ও ইয়াবাসহ এই তিন নারীকেও আটক করা হয়। পরে বিমানবন্দর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখার আবেদন করলে বিচারক ধীমান চন্দ্র মন্ডল কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত মঙ্গলবার নাসির এবং অমিকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
গত রোববার এক ফেইসবুক পোস্টে হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ সামনে আনেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরে রাতে বনানীতে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের সামনে সেই রাতের ঘটনার বিবরণ দেন।
সোমবার সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেন তিনি। পরীমনির অভিযোগ, গত ৮ জুন রাতে অমি তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর নাসির তাকে ‘ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা’ চালিয়েছিলেন।