দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রোল মডেল: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ হলেও বাংলাদেশকে এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2021, 05:22 PM
Updated : 6 May 2021, 05:22 PM

বৃহস্পতিবার বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ টুয়ার্ডস সাইক্লোন রেসিলিয়েন্স থ্রো দি লিগ্যাসি অফ বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ১৯৭৫ সালে তার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর স্তিমিত হয়ে যায়।

“বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করার পর দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রশমনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নেওয়া পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ হয়েও আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে গণ্য।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর উপকূলীয় অধিবাসীদের জান-মাল ও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি লাঘব করতে ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়।

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিপিপিকে সরকারি কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেন। এভাবেই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) পরিপূর্ণভাবে যাত্রা শুরু করে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এক নতুন মাত্রা লাভ করে। দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রশমন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সাথে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিকশিত হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে বিপন্ন মানবতার কল্যাণে যে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ও নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশকে একটি দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম দেশে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের এই সাফল্যের কৌশল জানতে বিশ্ব মহলও উন্মুখ।”

সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহাসীন বলেন, সিপিপির ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে আগাম দুর্যোগ সতর্ক বার্তা প্রচার, অপসারণ ও উদ্ধার, বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, মুজিব কিল্লা সংস্কার ও নির্মাণ, দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি, নদী এবং উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ, মহামারী করোনা মোকাবিলা প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রশমনের এই প্রয়াস বিশ্বমহলে প্রশংসিত।