বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার পর ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রীর এমন জবাব আসে।
তিনি বলেন, “এখন সেই টিকার বিষয়ে আশা হারাতে চাই না। টিকা যে আসবে না- এমন কোনো আশঙ্কা এখনই করা যাচ্ছে না। টিকা না দিলে তারা টাকা ফেরত দেবে। কোনো দেশ অন্য দেশের টাকা এভাবে মেরে খায় না।”
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর ভারতে ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে বিপুল চাহিদা তৈরি হওয়ায় এবং বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের কারণে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়।
এরপর ভারত সরকার মার্চে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বাংলাদেশের টিকা আসা আটকে যায়। নতুন সরবরাহ না পাওয়ায় প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে সরকার।
বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মা গত সপ্তাহে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট সরবরাহ করতে পারবে না বলেই তারা মনে করছে।
সময় মত সরবরাহ করতে না পারলে সেরাম ইনস্টিটিউট জরিমানা দেবে কিনা, সেই প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীকে করেছিলেন সাংবাদিকরা।
উত্তরে তিনি বলেন, “চুক্তি হয়েছে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী। নিয়মে যা আছে তাই হবে।”