টিকার জন্য ৬০০ কোটি টাকা অগ্রিম দিচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2021, 05:16 AM
Updated : 3 Jan 2021, 05:21 AM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে তারা টাকা পেয়েছেন। রোববারই তা ব্যাংকে জমা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

তৃতীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশের জনতা এবং স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ওই টাকা অগ্রিম হিসেবে গচ্ছিত রাখা হবে। বিনিময়ে সেরাম ইনস্টিটিউট ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে।

প্রথম চালানের টিকা বাংলাদেশে আসার পর সেরাম ইনস্টিটিউট ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে পারবে। টিকা সরবরাহ শুরু হলে বাকি টাকা দেওয়া হবে।

খুরশীদ আলম বলেন, “শতভাগ গ্যারান্টি থাকবে, যদি কোনো কারণে তারা (সেরাম ইনস্টিটিউট) টিকা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পুরো টাকাই সরকার ফেরত নিয়ে আসতে পারবে।”

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সেরাম ইনস্টিটিউট।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, প্রতি ডোজ টিকার ক্রয়মূল্য ৪ ডলার। সব খরচ মিলিয়ে দাম পড়বে ৫ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে ৪২৫ টাকার মত।

করোনাভাইরাসের এই টিকা সরকার কিনে তা বিনামূল্যে বিতরণ করবে বলে আগেই জানানো হয়েছে।

অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকার বেশি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, “টিকার দামের সঙ্গে ভ্যাট, ট্যাক্সসহ এই পরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। আমরা টাকাটা টিটির (টেলিফোনিক ট্রান্সফার) মাধ্যমে ব্যাংকে পাঠিয়ে দেব।”

রোববারই ওই টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার চেষ্টা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “টাকাটা এই সপ্তাহের মধ্যেই দিতে হবে। আজকে পারলে আজকেই, যত দ্রুত সম্ভব এই টাকা আমরা পাঠিয়ে দেব।”

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার ১০০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহের জন্য অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভির সঙ্গে আংশীদারিত্ব চুক্তি রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের।

ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য গত অগাস্টে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

সেই চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’।