কোভিড-১৯: টিকা পেতে দেরির কথা জানাল বেক্সিমকো ফার্মা

ভারত সরকারের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া (এসআইআই) চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করতে পারবে না বলেই মনে করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2021, 08:16 AM
Updated : 28 April 2021, 08:16 AM

বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মা বুধবার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে, ভারত সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের টিকার চালান পাওয়ার নতুন সূচি নির্ধারণ করা হবে।  

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।

বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশের ওই টিকা সংরক্ষণ এবং সারা দেশে সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে এবং সেজন্য তারা আলাদা ‘ফি’ পাবে বলে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে।

জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর ভারতে ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে বিপুল চাহিদা তৈরি হওয়ায় এবং বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের কারণে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর কেনা টিকার আর কোন চালান আসেনি।

লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বেক্সিমকো ফার্মা বলেছে, “ভারতে কোভিড-১৯ ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ায় সেদেশের সরকার টিকা রপ্তানিতে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এর ফলে টিকা সরবরাহে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে বেক্সিমকো ফার্মা ধারণা করছে, কারণ এসআইআই তাদের পরিকল্পনামাফিক মাসিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে না।

“সে কারণে এসআইআই ২০২১ সালের জুনে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বাকি দুই কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পারবে বলে বেক্সিমকো ফার্মাও আশা করছে না।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলে টিকা সরবরাহের একটি পরিবর্তিত সূচি নির্ধারণে আমাদের প্রতিষ্ঠান এসআইআই-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।”

পাশাপাশি, বেসরকারিভাবে পর্যায়ে ১০ লাখ ডোজ টিকা বিক্রির যে পরিকল্পনার কথা বেক্সিমকো ফার্মা এর আগে জানিয়েছিল, তাও স্থগিত থাকছে বলে এবারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, টিকার সরবরাহ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে কোম্পানি ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।