বুধবার রাত ১০ টার পরে বিভিন্ন এলাকায় অন্তত আধ ঘণ্টা বজ্র ঝড় ছিল; এ সময় হালকা বৃষ্টিও হয়।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঝড়ের বেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৮৩ কিলোমিটার উঠেছিল।
এদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এর মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
আরিফ বলেন, “রাতেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ প্রশমিত হবে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। ২৩-২৪ পযন্ত এপ্রিল ঝড়-বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকবে। এরপর ফের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।”
বৃষ্টি কম থাকলে এমন তপ্ত বৈশাখে অস্বস্তিকর গরমের অনুভূতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সীতাকুন্ডু, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বজ্র বৃষ্টি হতে পারে; কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার রাজশাহীতে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০১৮ সালে গরমের মৌসুমে ১৫ জুন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল।
গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ঢাকায় ১৯৯৫ সালে তাপমাত্রা ওঠেছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯৬০ সালে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।