দুদকে আমীর খসরুকে জিজ্ঞাসাবাদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে `অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2021, 07:11 AM
Updated : 1 March 2021, 10:49 AM

দুদকের তলবের আড়াই বছর পর সোমবার তিনি কমিশনে উপস্থিত হলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, "কেন এখানে ডাকা হয়েছে, কী তার উদ্দেশ্য আপনারা বোঝেন।  আমাকে এখানে ডাকা হয়েছে আমার সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছে, আমি তার জবাব দিয়েছি।"

তিনি বলেন, "আমি সাধারণ জীবন-যাপন করি, আমার ইন্টিগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নাই। আমার জীবনযাপন সম্পর্কে আপনারা জানেন।"

২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট `অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরুকে তলব করে নোটিস দিয়েছিলেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক কাজী শফিকুল।

ওই নোটিসে একই বছরের ২৮ অগাস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল।

আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ‘বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের পাশাপাশি স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিজের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ পাওয়ার কথা ওই নোটিসে বলা হয়েছিল।

ওই তলবে আমীর খসরু উপস্থিত না হওয়ায় পরে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে আরেকটি নোটিস পাঠায় দুদক। কিন্তু তিনি নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।

এরপর ২০১৮ সালেরই ১০ সেপ্টেম্বর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠান তিনি। হাই কোর্টে এই রিট ‘বিচারাধীন’ জানিয়ে এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে সেখানে অনুরোধ করা হয়।

পরে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই রিট আবেদন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেয় আদালত।

পরে ২০১৯ সালের ৬ অগাস্ট আমীর খসরু ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে পৃথক নোটিস দেয় দুদক।

ওই নোটিসে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ‘নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল সম্পদের প্রমাণ মেলার’ কথা বলা হয়েছিল।

এরপর সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমীর খসরু, তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম এবং ভায়রা (স্ত্রীর বোনের স্বামী) গোলাম সরোয়ারকে তলব করে নোটিস পাঠান দুদকের অনুন্ধান কর্মকর্তা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমির খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক। সেই তলবে সোমবার তিনি হাজিরা দিয়ে গেলেন।