রোববার রাজারবাগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও এদেশের একদল মানুষ কোনোকিছুতেই মঙ্গল খুঁজে পায় না। তাদের মধ্যে এক ধরণের নৈরাশ্যবাদ কাজ করে।”
বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট উগ্রবাদী কার্যক্রমবিরোধী জনসচেতনতামূলক অনলাইন ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের উদ্বোধনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জঙ্গিবাদে জড়ানো কয়েকজনের গত বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণের প্রসঙ্গ এনে বেনজীর আহমেদ বলেন, “ওই অনুষ্ঠানের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একদল লোক নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকে। তাদের ভাষ্যমতে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদী কার্যক্রম নাই, তাহলে কোথা থেকে এসব জঙ্গিরা এলো?
“তার মানে এ ধরণের লোকদের খুশি করার জন্য দেশটাকে রক্তাক্ত করে দিতে হবে। তারপর জঙ্গি ধরতে হবে। ব্যাপারটা অনেকটাই কাদম্বরী মরিয়া প্রমাণ করিলো সে মরে নাই- বিষয়টির মত দাঁড়াচ্ছে। আমরা যদি প্রতি সপ্তাহে, প্রতিমাসে জঙ্গিদের না ধরতাম, তাহলে ঠিকই জঙ্গি দেখতে পেতেন।”
তিনি বলেন, “এ ধরনের নৈরাশ্যবাদের চর্চা না করে সুস্থতার জন্য সঠিক চিকিৎসা করানো জরুরি। তারা মানসিকভাবে অসুস্থ।”
বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি টেলিভিশন ও অনলাইন (টিভিসি এবং ওভিসি) বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, “যাবতীয় উগ্র এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণমানুষকে সচেতন করার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সংযোগ স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটা বিশাল সাম্রাজ্য। এর যেমন ইতিবাচক দিক আছে, তেমনটাই অপরপাশে নেতিবাচক দিকটা অবস্থান করে। জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হবার মতো অনেক বিষয়বস্তু থাকতে পারে। কিন্তু এর থেকে বিরত রাখার মতো ন্যারেটিভ কন্টেন্টের বড়ই অভাব।
“এমন পরিস্থিতিতে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের এই অনলাইন এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব এটিকে ছড়িয়ে দিয়ে গণমানুষের এমনকি বহির্বিশ্বেরও দৃষ্টিগোচর করা।”
বেনজীর আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে চার মিনিট ২৪ সেকেন্ডের একটি ওভিসি এবং দেড় মিনিটের একটি টিভিসি উদ্বোধন করেন।
অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।