এ মামলায় গ্রেপ্তার নাহিদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা আইরিন, আইরিনের বাবা আশেক উল্লাহ, ভাই শাকিব, মামা নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার রাতে ঢাকার উত্তরা ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই সারিফুজ্জামান।
ছয়জনের মধ্যে নাহিদ মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসীর খাস কামরায় ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দেন বলে পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কশিনার জাফর হোসেন জানান।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে গ্রেপ্তার বাকি পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর নাহিদকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
রোববার দুপুরে কাফরুলের বাইশটেকি ইমামনগর এলাকার একটি ভবনের সপ্তম তলার ফ্ল্যাট থেকে সীমা বেগমের (৩৩) দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে পোড়া ক্ষত ছাড়াও জখমের চিহ্ন ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সীমার স্বামীর নাম মো. শাহজাহান। সীমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।
সীমার ভাই হেলাল শরিফ রোববারই কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে বলা হয়, ছুরি মেরে হত্যা করার পর আগুনে পোড়ানো হয় সীমা বেগমের লাশ।
মামলা হওয়ার পর পুলিশ অভিযানে নেমে উত্তরা থেকে নাহিদ এবং মিরপুর থেকে আইরিনকে গ্রেপ্তার করে।
বাকিদেরও মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার অসম মাহতাব উদ্দিন জানিয়েছেন।