‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিচয় মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে’

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিচয় মুছে ফেলার ‘ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে’ বলে সতর্কবার্তা এসেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশের এক বিবৃতিতে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2020, 03:35 PM
Updated : 30 Nov 2020, 03:35 PM

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রাক্কালে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ বলেছে, জনগণের সম্মিলিত শক্তির সমন্বয় হলেই সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আসবে মুক্তি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বর। ৪৯ বছর আগে এই মাসের ১৬ তারিখে পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পন করেছিল।

“বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের রাজনৈতিক মুক্তির পর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সাংবিধানিক সংস্কারের পথে এগিয়েছিলেন। ঠিক এই সময় তাকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার শত্রু এবং পাকিস্তানের হানাদারদের কোলাবরেটরেরা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছর পর ক্ষমতা দখল করে এবং দীর্ঘ একুশ বছর এই ক্ষমতা নানা পরিচয়ে কুক্ষিগত করে রাখে।”

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায় একাত্তরের ঘাতক দালালরা। একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদারিত্ব পায়, তাদের গাড়িতে শোভা পায় জাতীয় পতাকা। বিকৃত করা হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সংবিধান।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ বলছে, বাঙালির স্বাধীন অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার অবাধ বিকাশের পথে ‘সবচেয়ে বড় বাধা’ সাম্প্রদায়িকতা।

“বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গত ৫০ বছর যাবত যে অর্জন করেছে, অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, স্বাধীন সমাজ ব্যবস্থা, উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সব কিছু ধ্বংস করে দেশটাকে আবার মধ্যযুগীয় অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুরা এখন সচেষ্ট।

“অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা এখনও চলছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। দেশকে পিছিয়ে দিতে চায় একটি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি।”

এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। দেশের মানুষ বাংলার চিরায়ত বৈশিষ্ট্যকেই সব সময় ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির সমন্বয় হলেই সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আসবে নতুন মুক্তি।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, উপদেষ্টা শফিকুর রহমান, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আরমা দত্ত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গোমেজ, ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াসহ অন্য নেতারা।